বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
উদযাপিত হচ্ছে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ‘শ্মশান দিপালী’ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত, সড়ক অবরোধ-অগ্নিসংযোগ বরিশালে প্রথম দিনেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ন্যায্যমূল্যের দোকান প্র‍য়াত স্বজনদের স্বরনে কলাপাড়ায় শ্মশান দিপালী উৎসব পালিত আন্দোলন সংগ্রামে নিহতদের জন্য যুবদলের দোয়া মুনাজাত কলাপাড়ায় জাল ফেলাকে কেন্দ্র করে জেলেকে মারধর পটুয়াখালীতে সাবেক আ’লীগ ও বিএনপি করা দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগে, সংবাদ সম্মেলন কলাপাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১১ জন শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক ৫ জন অনিয়মই যেন নিয়ম চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ইউনিয়ন বি এন পির প্রতিবাদ সমাবেশ গলাচিপায় গনআধিকার পরিষদের সমাবেশে হাজারো মানুষের ঢল কলাপাড়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে ‘এইচপিভি’ টিকা প্রদান যুবদলের ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত বাউফলে জামায়াতে ইসলামীর গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত সড়কে নিরাপত্তায় নতুন আইনের দাবি বরিশালে কলাপাড়া পৌরসভার রাজস্ব লুটে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: ২৮ মেধাক্রম নিয়ে সাবজেক্ট পায়নি ভর্তিচ্ছু

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: ২৮ মেধাক্রম নিয়ে সাবজেক্ট পায়নি ভর্তিচ্ছু

Sharing is caring!

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক প্রথম মেধা তালিকা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। ১ম মেধা তালিকায় সাবজেক্ট পেয়েও ভর্তি হতে পারছেন না তারা।

২৮ মেধাক্রম নিয়েও কোনো সাবজেক্ট পায়নি এক ছাত্র। এদিকে অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চান্স পেয়েও ভর্তি বাতিল করেছেন। আবার এখানেও তারা ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন না।

ফলে শিক্ষাজীবন নিয়ে টানাপোড়েনে পড়তে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। হুমকির মুখে পড়েছে তাদের শিক্ষাজীবন। ১১ জানুয়ারি প্রথম মেধা তালিকা প্রকাশ করার কথা থাকলেও দুই দফা পিছিয়ে ১২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টায় তা প্রকাশ করা হয়। এ সময় অনেকেই নানা বিষয়ে মনোনীত হন। কিন্তু পরে রাত ১১টার পর তাদের মনোনীত বিষয় বাতিল করে নো ডিপার্টমেন্ট প্রদর্শন করা হয়।

তবে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই সেই বিষয়টি লক্ষ্য করেননি। তারা আগে ভর্তি হওয়া প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বাতিল করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে যান ভর্তি হতে কিন্তু তারা ভর্তি হতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

ইংরেজিতে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় যে কোনো একটিতে ‘সি’ গ্রেড থাকায় বিভিন্ন বিষয়ের জন্য মনোনীত হয়েও ভর্তি হতে পারছে না ২৫ শিক্ষার্থী। কেননা ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে ‘খ’ ইউনিটের যে কোনো বিষয়ে ভর্তি হতে হলে শিক্ষার্থীকে ইংরেজিতে ন্যূনতম বি গ্রেড পেতে হবে। এই শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও বেশি বলে ধারণা অনেকের।

কুমিল্লার বাসিন্দা পিয়াস সরকার জানান, আমার মেধাক্রম ২৪৭ এবং বিষয় এসেছে ইতিহাস ও সভ্যতা। মঙ্গলবার ভর্তি হতে এসে জানতে পারি ভর্তি হতে পারব না। কিন্তু আমাকে কেন সাবজেক্ট দেয়া হল। বিষয়ই যদি না দেয়া হয় ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ কেন রাখা হল বলেও প্রশ্ন রাখেন এই শিক্ষার্থী।

১৭৫ মেধাক্রম নিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে ভর্তি হতে আসা এক শিক্ষার্থীও পড়েছেন একই সমস্যায়। তিনি জানিয়েছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি বাতিল করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি ভর্তি হতে। কিন্তু এখন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বলা হচ্ছে ভর্তি হওয়া যাবে না।

আরিফুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থী জানান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটিতে যারা রয়েছেন তারা শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। যে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ভর্তি বাতিল করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন ভর্তি হতে তারা এখন কি করবে। তাদের শিক্ষাজীবন তো সংকটের মধ্যে পড়েছে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত নিজস্ব সার্ভার ইউজ করা। আর তা না হলে আরও শিক্ষার্থী সমস্যার মধ্যে পড়বে।

এছাড়া মেধা তালিকা নিয়ে আরও বিভ্রাটের কথা জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। ২৮ মেধাক্রম নিয়েও কোনো সাবজেক্ট পায়নি এক ছাত্র। বিষয়টি খোলাসা হয়ে যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে প্রশ্নের।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভার ব্যবহার করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। সার্ভার অপারেটর সঠিক সময়ে কাজ না করায় এমন বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক রাহাত হোসেন ফয়সাল বলেন, কিছু টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে প্রাথমিকভাবে ফলাফল প্রকাশে দেরি হয়েছে। প্রাথমিক ফলাফলে এজন্য কিছুটা অসঙ্গতিও সৃষ্টি হয়েছে। যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি বাতিল করে এখানে ভর্তি হতে এসেছিল কিন্তু ইংরেজিতে সি গ্রেড থাকায় ভর্তি হতে পারছেন না। তারা যেন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পুনরায় ভর্তি হতে পারেন সে ব্যাপারে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করব। তিনি আরও বলেন, অনেকের মেধাক্রম কম থাকলেও তারা বিষয় পায়নি।

কেননা বিষয় পেতে যে শর্তগুলো রয়েছে তারা সে শর্তগুলো পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু অনেকের মেধাক্রম অনেক দূরে থাকা সত্ত্বেও বিষয় পেয়েছেন। কেননা তারা সবগুলো শর্ত পূরণ করতে পেরেছেন। যেমন সি ইউনিটের (ব্যবসায় অনুষদ) মেধাতালিকার প্রথম ১৫০ জনের ৩৫ জন শিক্ষার্থী কোনো বিষয়ের জন্য মনোনীত হয়নি। কেননা ওই ইউনিটের সাবজেক্ট পেতে ন্যূনতম যে শর্তগুলো রয়েছে তা তারা পূরণ করতে পারেননি। আবার এক হাজার ১৩১তম মেধাক্রম থেকেও সাবজেক্ট পেয়েছেন। কেননা তারা ভর্তি বিজ্ঞপ্তির সবগুলো শর্ত পূরণ করেছেন।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও ভর্তি পরীক্ষা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিনকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ফোনে এ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত বলে বোঝানো সম্ভব নয়। সামনাসামনি কথা বলার কথা বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান ভিসি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD